কক্সবাজারে আবার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ 


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
কক্সবাজারে আবার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ 
  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের কারাগারে সাজাভোগ শেষে কক্সাবাজার সীমান্ত দিয়ে ফের অনুপ্রবেশ করেছে অন্তত অর্ধশত রোহিঙ্গা। সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছে আরও অনেক রোহিঙ্গা।

নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা তাদের আত্মীয় স্বজনদের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। বিষয়টি স্বীকার করে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আরও সতর্ক বিজিবি।

মিয়ানমারের মংডুর গর্জের বিল এলাকার নাগরিক সোনা আলী। গেল ২৯শে এপ্রিল কৌশলে সীমান্ত পার হয়ে টেকনাফের শালবাগান আশ্রয় শিবিরে এসেছেন তিনি। ক্যাম্পে পরিবার ও স্বজনদের কাছে থাকতে চান তিনি।

দেশটি থেকে গেল ১ সপ্তাহে অনুপ্রবেশ করেছে অর্ধশত রোহিঙ্গা। যারা ২০১৭ সালে মিয়ানমারে আটক হয়ে কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি মিয়ানমারের জান্তা সরকার ১৩৭ জন বিদেশিসহ মোট ২৩ হাজার ৪৭ বন্দিকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। যেখানে রয়েছে ছয়শো রোহিঙ্গাও।

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর ক্যাম্পে সতর্ক অবস্থায় এপিবিএন। নতুন কেউ আসলে নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে ক্যাম্প কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছে তারা। কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন'র অধিনায়ক (এসপি) মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, 'যারা এসেছে তাদের প্রত্যেকের সাথেই আমরা কথা বলেছি। জানতে পারলাম যে, তাদের পরিবারের সদস্যরা আগেই চলে এসেছে ২০১৭ সালে। তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে থাকতেই তারা এখানে চলে এসেছেন।'

অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে সীমান্তে টহল বাড়িয়েছে বিজিবি। বিজিবি সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, 'অনুপ্রবেশের প্রচষ্টা যেমন বেড়েছে, তাদেরকে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাও আমাদের বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অনুপ্রবেশে চেষ্টাকারী মিয়ানমারের নাগরিকদের আমরা সীমান্ত থেকেই ফেরত পাঠিয়েছি।'

রোহিঙ্গাদের নতুন করে অনুপ্রবেশে উদ্বেগ জানিয়েছে সচেতন মহল। কক্সবাজার পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক  ফরহাদ ইকবাল বলেন, 'মিয়ানমার কারাগার থেকে যারা মুক্তি পেয়েছে তাদের মিয়ানমারেই থাকার কথা। তারা কেন বাংলাদেশে আসছে? এভাবে যদি রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে আশ্রয় পায় তাহলে নতুনভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উৎসাহিত হবে।'

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং ইউএনএইচসিআর।